Uttorer Kantho

বেলুচিস্তান সন্ত্রাসমুক্ত করার অঙ্গীকার, অভিযান নিয়ে ধোঁয়াশা

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলার পর সন্ত্রাস দমনে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। তবে এ জন্য বড় ধরনের সামরিক অভিযানের বাইরে বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। বেলুচিস্তানের স্থানীয় সরকার অভিযানের ধরন স্পষ্ট না করায় এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেছেন, হামলায় অন্তত ৩৮ জন শহীদ হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা বেলুচ নয়। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। অবশ্যই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করা হচ্ছে। তবে এ জন্য বড় কোনো অভিযান পরিচালনা করা হবে না

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত থেকে শুরু হওয়া হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এরপর সোমবার বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেন।

আগের দিন রোববার রাতে বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং, কালাত, পাসনি ও সুনসার জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। প্রদেশটির রাজধানী কোয়েটাসহ সিবি, পঞ্জগুর, মাস্তুং, তুরবত ও বেলা শহরে সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গ্রেনেড হামলা চালায়। গোয়াদর জেলায় সুনসার থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্রও লুট করে সন্ত্রাসীরা।

বেলুচিস্তান সন্ত্রাসমুক্ত করার অঙ্গীকার, অভিযান নিয়ে ধোঁয়াশা

গাড়ি থেকে নামিয়ে যাত্রীদেরকে গুলি, বহু হতাহত

এর মধ্যে মুসাখেলের রারাশাম এলাকায় বাস, প্রাইভেট কার ও ট্রাক থেকে নামিয়ে যাত্রীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট (এসএসপি) আইয়ুব আচাকজাই বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা আন্তঃপ্রাদেশিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং যানবাহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর তাদের গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শহিদ রিন্দ বলেন, জঙ্গিরা দুই থেকে তিনটি স্থানে আক্রমণ করেছিল। সেখানে তারা নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীরা অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে মুসাখেলে হামলা চালায়। সেখানে তারা বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় অন্তত ১০টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *