যৌন নিপীড়ন ও শিক্ষার্থী হেনস্তায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। কর্মসূচির আয়োজন করে ‘আইন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা’।
এর আগে সোমবার সকালে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষকের নাম ও ছবি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগের সত্যতা জানতে সাংবাদিক পরিচয়ে সেই আইডিতে খুদে বার্তা পাঠিয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আইন বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম মিথিলা বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে যৌন নিপীড়ন এবং ধর্ষণের মতো একটি অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই মানববন্ধন।
প্রথমত, এত বড় স্পর্শকাতর অভিযোগ শুধু একটি ফেসবুক পোস্টে করা হয়েছে। এটি নিছক কোনো অভিযোগ কি না কিংবা কতটুকু সত্যতা আছে, সে বিষয়টা যাচাই করার একটা ব্যাপার থাকে।
![রাবিতে যৌন নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবিতে মানববন্ধন](https://www.kalbela.com/assets/news_photos/2024/08/27/image_115861_1724771379.webp)
বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসির সঙ্গে প্রেস ক্লাব নেতাদের মতবিনিময়
দ্বিতীয়ত, যদি অভিযোগটি প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে যেন অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’
আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সানজিদা ঢালী বলেন, ‘অভিযুক্ত আর দোষী এ দুটি কথা এক নয়। যে অভিযোগটা এসেছে, সেটি কতটুকু সত্য বা মিথ্যা, সেটি যাচাই করার জন্য যেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। তাছাড়া ফেসবুক কোনো অভিযোগের জায়গা না।
ভুক্তভোগী যেন লিখিতভাবে নিয়মানুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায়। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রমাণ সাপেক্ষে শাস্তির ব্যবস্থা করেন এটাই আমাদের দাবি। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পাশে থেকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।’
মানববন্ধনে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারের শাসনামলে অনেক দুর্নীতি, যৌন হয়রানি ও অনাচারসহ অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কাজ হচ্ছে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এক এক করে দাঁড়ানো। এগুলো যেন একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের ব্যবস্থা করা হয় সেটিই আমাদের দাবি।’